সৌদি রাজকন্যার নতুন ঘোষণা, বড় পরিবর্তন আসছে সৌদিতে!

সৌদি আরব হলো বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকে। তবে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই।ইসলামী দেশ বলে কথা।তরুণ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি তার দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে।

নানামুখী সংস্কার-কার্যক্রম হাতে নেন। এই সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টিও ছিল।মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে বাধা তুলে নিতে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলআজিজ যে আদেশ জারি করেছেন এবং সম্প্রতি মেয়েরা যে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলো- সেটিকে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত বলা যাবে না।

ধীরে হলেও বেশ কয়েক বছর থেকেই সৌদি আরবের সমাজ একটি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেই পরিবর্তনেরই বহিঃপ্রকাশ ছিল এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এব্ং ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান।

সম্প্রতি তেল অর্থনীতিতে ধস পড়ায় সৌদি আরব নানা পন্থায় এর থেকে উত্তরনের পথ খুজছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় মেয়েদের বিভিন্ন নতুন নতুন চাকরিক্ষেত্রে নিয়োগকরন, তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানসহ আরো নানা পদক্ষেপে হাত দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ বিন সালমান। সম্প্রতি সৌদি আরবে নারীদের জন্য আরো বড় পরিবর্তনের আভাষ দিয়েছেন দেশটির একজন রাজকন্যা। তবে এই পরিবর্তনের কোনও সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি।

আরবি ভাষার দৈনিক পত্রিকা ওকাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্ভাব্য এই সংস্কারের কথা জানিয়েছেন দেশটির ক্রীড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আন্ডার সেক্রেটারি রাজকন্যা রিমা বিনতে বন্দর বিন সুলতান আল সৌদ। তিনি বলেছেন, সৌদি নারীদের এখন আর চাকরি, গাড়ি চালানো বা পড়াশুনার জন্য অনুমতির দরকার পড়বে না।

বলা বাহুল্য সৌদি মেয়েদের এভাবে ঘর থেকে বের করে যেসব কর্মক্ষেত্রে তাদের পাঠানো হচ্ছে, সেগুলো এতদিন ছিলো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের দখলে। এখন মেয়েদের এমন বড় বড় পরিবর্তনে প্রবাসীদের কর্মক্ষেত্র সংকোচিত হয়ে বিপদ তুলনামূলকভাবে বেড়ে যাচ্ছে।

সৌদি রাজকন্যার নতুন বড় পরিবর্তনের ঘোষণায় প্রবাসীরা আরো বিচলিত হবেন এমনটাই স্বাভাবিক।কেননা সৌদি নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পাওয়ায় প্রায় ৮ লাখ প্রবাসী সমস্যায় পড়ছে কজের জন্য এরপর যদি আবার অন্যান্য কাজে নারীরা যোগ দেয় তাহলে প্রবাসীদের অবস্থা দিন দিন করুন হবে।